জে.এ যাদু
মানুষ মানুষের জন্য কথাটি মনে পরেগেল ইতি মধ্যে মানবিক পুশিল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম। সুত্রে প্রকাশ, পরিচয় বলতে না পারা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী পথেই যার ঠিকানা খেয়ে না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সম্প্রতি রোববার বিকেলে পায়ে ক্ষত হয়ে পোকা ধরা রোগ (গ্যাংরিন) নিয়ে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ওই নারীকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার নয়াকান্দি এলাকা থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।যানা যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নারীটিকে চিকিৎসা দিতে নানা তালবাহানা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা তার নিজ খরচে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ওই নারীকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে সেখান থেকেও তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ওই নারীকে গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে মিটফোর্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবা দিতে গড়িমসি করে। পরে রাত ৩টার দিকে পুনরায় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অতঃপর পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার সকাল ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ভর্তি করে। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল ভারসাম্যহীন ওই নারীকে পায়ে ক্ষত নিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। অসুস্থ ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে আমার দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে অথচ সকল পেশার ঊর্ধ্বে মানবতা। সেই মানবতা আজ বিপন্ন। পায়ে ক্ষত নিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেও কেউ এগিয়ে আসেনি। মানসিক ভারসাম্যহীন নারীটিকে চিকিৎসা সেবা দিতে কেউ গড়িমসি না করে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আরশাদউল্লাহ বলেন, আমাদের হাসপাতালে সাইকিয়াট্রিট বিভাগ না থাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ঢাকা মেকিল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এখন সে আমাদের এখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
Leave a Reply