জেএ যাদু

দৈনিক দেশ প্রতিদিন

দৈনিক দেশ প্রতিদিন

দৈনিক দেশ প্রতিদিন
সম্প্রতি দেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জেএ যাদুর একান্ত সাক্ষাৎকারে শিল্পপতি, সাবেক মন্ত্রী কন্যা জেলা বিএনপির দুই বারের সফল সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেন, আমার পিতার স্বপ্নপূরণে মানিকগঞ্জ বাসির উন্নয়নে রাজনীতি করি এবং যতদিন বেচে থাকবো মানুষের কল্যানে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাব। একনজরে যানা যাক আফরোজা খান রিতাকে একজন শিল্পপতি, একজন স্বচ্ছ ও সৎ রাজনীতিবিদ, একজন সাবেক মন্ত্রী ও একজন অত্যন্ত ভাল উদার মনের মানুষ, জনাব হারুন-আর-রশিদ খান মুন্নু সাহেবের সুযোগ্য কন্যা।
আফরেজা খান রিতা ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্রী ছিলেন।যার ফলে সর্ব পর্যায়ে ভাল ফলাফলসহ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অত্যন্ত সফলতার সাথে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স-মাষ্টার্স কমপ্লিট করেন। ভাল মেধা ও পরিশ্রমী হওয়ার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবসায় উন্নতি লাভসহ মুন্নু গ্রুপের দায়িত্বে থাকেন এবং পাশাপাশি দেশ, মানব ও সমাজের সেবায় নিজের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে মানিকগঞ্জ বাসীর মন জয় করেছেনএবং একজন জনপ্রিয় নেত্রী ও একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সেজন্য তার মহান পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে জনগনের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে সিংগাইর-হরিরামপুর থেকে নির্বাচন করেন। প্রথম বার নির্বাচন করে ব্যাপক প্রতিকুলতা ও অস্বচ্ছ পরিবেশের মধ্যেও আল্লাহ রহমতে জনগনের বিপুল সংখ্যক ভোট পান । দীর্ঘ দিন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপিতে কোন কমিটি ছিল না। ২০১৩ সালে তিনি পরিশ্রম ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ১৬ সদেস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে আসেন এবং জনগনের দোয়ায় ও ভালবাসায় তিনি মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পান।
২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা রাখতে গিয়ে তিনি তার মানসিক, অর্থনৈতিক ও সাহসিকতা দিয়ে লড়াই করে সাত(৭)টি উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি ছিনিয়ে আনেন এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেন। তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ২০১৮ সালের এই পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন, সংগ্রাম, প্রোগ্রাম, ঢাকার কেন্দ্রীয় প্রোগ্রাম, মিটিং মিছিল সবকিছুতে নেতৃত্ব দিয়ে থাকতেন ও ব্যাপক ভুমিকা রাখতেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নেতাকর্মীর মামলার আইনি ও আর্থিক সহায়তা করেছেন । সব সময়ই অসহায় ও নির্যাতিত নেতাকর্মীর পরিবার পাশে থেকে তিনি উদারতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, স্বেচ্চাসেবক দল, যুবদল ও শ্রমিকদলের কমিটিগুলো হয়েছিল তার উদারতা ও পরিশ্রমের ফলে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিখানা গুলোর জন্য তিনি খুবই আন্তরিক। সমাজ সেবায় তিনি সবচেয়ে বেশী উদার। মুন্নু পরিবার ও আফরোজা খান রিতার উদারতা খাতায় লিখে শেষ করা যাবে না।রাজনীতির বাইরে ও ভিতরে রিতা কত মানুষের যে উপকার করেছে তা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিনই ভাল জানেন বলে এলাকা বাসি থেকে জানা যায়।এলাকার কারো মেয়ের বিয়ে, কারো চিকিৎসা, কারো শিক্ষায় ইত্যাদি, বলে শেষ করা যাবে না।
তিনি নিজের জন্য রাজনীতি করেন না, মানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তার নিজের কোন চাওয়া পাওয়া কিছুই নাই। তার সব কাজ মানুষের জন্য। তিনি রাজনীতি করেন, ব্যবসা করেন এবং নিজের সংসার তাকেই সামাল দিতে হয়। তাই তার সময়ের অভাব। তার পরেও তিনি দুঃসময়ে আমাদের জন্য প্রচুর সময় দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। দলের এই দুঃসময়ে তার সাহসিকতা ও সহায়তার হাতকে আমরা মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির জন্য আশীর্বাদ। মহামারি করোনায় মাস্ক বিতরন ও দলিয় নেতা কর্মিদের খোজ খবর সহ সুবিধা অসুবিধা পাশে দারান পরিশেষে আফরোজা খান রিতা মানিকগঞ্জ সহ দেশ বাসির কাছে বিএনপির চেয়ার ম্যান বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ার ম্যান তারেক রহমান এবং তার পরিবারের সবার জন্য দোয়া কামনা করেছেন। জেলার সকল নেতা কর্মিদের দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বারিয়ে সেবা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
Leave a Reply